এজলাসে আইনজীবীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে হাইকোর্টের বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ২৯ জন আইনজীবীর স্বাক্ষরে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ভেঙে দিয়ে তা পুনর্গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার মামলা কার্যতালিকায় ওঠা নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে এজলাসে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারপতির বাকবিতাণ্ডা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে।
প্রধান বিচারপতির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের মূল ভবনের ৭ নম্বর এজলাসে অবকাশকালীন এখতিয়ারাধীন শুরু থেকেই মামলার কার্যতালিকা তৈরি ও শুনানিতে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো নিরসনের জন্য আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মঙ্গরবার সকালে মেনশনের সময় আইনজীবীদের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। তিনি আদালতকে সম্মানের সঙ্গে শুরুতেই এপোলজি প্রার্থনা করে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা অনিয়ম করে সকল জমাকৃত মামলা ঠিকমত দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন।’
উত্তরে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ওই আইনজীবীর ক্ষিপ্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘আমি বারের নেতা ছিলাম। তোমাকে কে সাহস দিয়েছে, আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, তোকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে দেবো।’ এসময় আদালতে অবস্থানরত আইনজীবীরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করলে তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
পরে বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় বিচারপতি আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ভেঙে দিয়ে বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে বেঞ্চটি পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত