গত ১৬ সেপ্টেম্বর সব পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। এরপর গত ১৫ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ফের ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তারপরও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম ও মুরগি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্থান ভেদে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৭০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২৩০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা। এদিকে সুপারসপ ও বিভিন্ন অনলাইন গ্রোসারি সপে ডিম বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। অথচ ১৫ অক্টোবর খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। সে হিসাবে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হওয়ার কথা ছিল ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায় আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি আগের মতো বাড়তি দামে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা পর্যায়ে নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সায় বিক্রির কথা ছিল।
এদিকে বাজারে গরুর মাংস আগের মতো বাড়তি দামে প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজারে শামছুল নামের এক ক্রেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিছুদিন আগে ডিম কিনেছি ১৮০ টাকা ডজন। আজ কিনলাম ১৭০ টাকায়। অথচ সরকার নির্ধারণ করেছে ১৪২ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দাম নির্ধারণ করে লাভ কি।
বন্যা আর সরবরাহের অজুহাত দেখিয়ে রাজধানীর রামপুরা এলাকার মুরগি বিক্রেতা শফিকুল বলেন, আসলে কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রচুর পরিমাণে মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম, এর ফলে দাম বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল