মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

পঞ্চগড়ে কৃষকের ঘরে আগাম জাতের ধান

পঞ্চগড়ে কৃষকের ঘরে আগাম জাতের ধান
পঞ্চগড়ে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০০০ হেক্টর জমিতে বিনা-৭, ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের আগাম ধান চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের আগে আগাম জাতের ধান চাষে ব্যাপক সাফল্যও পেয়েছে পঞ্চগড়ের চাষীরা। কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন নতুন ধান কাটা আর মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। আশ্বিন ও কার্তিক দুইমাস এ অঞ্চলে মঙ্গার সময়। তাছাড়া ঈদ ও পুজোয় নানা খরচের চাপে কৃষকেরা বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়েছিলেন। নতুন ধান পেয়ে তাই খুশি তারা। এমনটাই জানালেন তেঁতুলিয়া উপজেলার ডিমাগজ গ্রামের কৃষক আবু হোসেন। আশ্বিন ও কার্তিক এই দুই মাস এ এলাকায় অভাবের মাস। এসময়টাতে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা থাকে না। কৃষি শ্রমিকদের থাকে না কোন কাজ। ফলে এ সময়ে কৃষক, শ্রমিকসহ অধিকাংশ মানুষের সংসারেই দেখা দেয় অভাব। কিন্তু আগাম জাতের ধান চাষাবাদে বদলে গেছে এ এলাকার চিত্র।
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি একরে ৫০ থেকে ৬০ মন ধান উৎপাদন হয়েছে। স্বল্প সময় ও খরচে এসব ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। হাটবাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। এসব ধান বিক্রি করে নগদ অর্থের সংস্থান ও ঘরের ধানের ভাত খেতে পেরে দারম্নন খুশি কৃষকরা। আগাম জাতের ধান চাষাবাদের ফলে লাঘব হয়েছে কৃষকদের অভাব। এই ধান চাষ করে শুধু চাষীরাই নয়, অসময়ে কাজ ও নগদ টাকা পেয়ে সংসার পরিচালনা করতে পেরে খুশি কৃষি শ্রমিকরাও।
 
এ অঞ্চলের কৃষকেরা মনে করেন,কৃষি অফিস থেকে সব সময় মনিটরিং সহ আগাম ধান চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হলে  ভবিষ্যতে আগাম ধান চাষে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া যাবে। 
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা সহীর উদ্দিন আহমেদ জানান, অসময়ে আগাম জাতের ধানের ফলন ভাল হয়েছে । তাই আগাম ধান চাষাবাদে এ অঞ্চলের কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।
 
 
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ২০১৪/ রশিদা
 

সর্বশেষ খবর