শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

কেয়া অথৈ হানিফ পরিবহনের মালিক, চালক দায়ী

ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নাটোরের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৃত দোষী অথৈ, কেয়া এবং হানিফ পরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপাররা। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় এ তিনটি বাসের মালিক, চালক ও তার সহকারীদের দায়ী করে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়। সোমবার দুর্ঘটনার দিনই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাটোর জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই কমিটি তাদের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়- কেয়া পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। সড়কের পরিস্থিতি ও যানবাহনের গতিবিধি না বুঝেই তিনি একটি ট্রাককে 'ওভারটেক' করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- দুই বাসের সংঘর্ষের পর আহত যাত্রীরা যখন রাস্তায় পড়ে ছিলেন, তাদের চাপা দিয়েই হানিফ পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে চলে যায়। এতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেয়া পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট হালনাগাদ ছিল না। এ ছাড়া অথৈ পরিবহনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ভুয়া। নিয়ম ভেঙে তারা ছাদে ৪৪ থেকে ৪৬ জন যাত্রী তুলেছিল। আর হানিফ পরিবহনের একটি বাস রাস্তায় থাকা যাত্রীদের চাপা দেয়। তবে ওই বাসটি এবং তার চালককে শনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে।

মন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ও বিআরটিএর একজন সহকারী পরিচালক এ তদন্ত কমিটিতে ছিলেন।

সর্বশেষ খবর