শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নবীনগরে গোলাম আযমের লাশ আনা চলবে না

নবীনগরে গোলাম আযমের লাশ আনা চলবে না

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের গায়েবানা জানাজা হয়েছে বগুড়া ও সৈয়দপুরে। তার জন্মস্থান নবীনগরে 'লাশ যেন না আসে' স্লোগান দিয়ে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের লাশ তার জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে না আনার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ১৪ দল। গতকাল দুপুরে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'নবীনগরে গোলাম আযমের লাশ আনা চলবে না। লাশ আনতে দেওয়া হবে না।' জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাছির উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামছুল আলম সাহান প্রমুখ।

বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, গতকাল বিকাল ৫টায় বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে গোলাম আযমের গায়েবানা জানাজায় জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আলমগীর হোসাইন ইমামতি করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন জানান, গায়েনাবা জানাজায় জেলা, শহর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, গতকাল বাদ জুমা সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গায়েবানা জানাজায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ১৯ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় ৩৯ জন পুলিশ সদস্য মাঠে অবস্থান নেন। জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হয়েছিল এ জানাজাকে ঘিরে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক শোডাউন হবে। ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ আশঙ্কায় পুলিশ পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জানাজাস্থলে অবস্থান নেয়। কিন্তু জানাজা স্থানে জামায়াত-শিবিরের মাত্র ১৯ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সর্বশেষ খবর