ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আড়াই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অনুসন্ধানে প্রকল্প পরিচালকসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক সালাউদ্দিন আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিট রি-পাওয়ারিং বা পুনঃক্ষমতায়নের নামে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক জানায়, ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিট রি-পাওয়ারিংয়ের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যেখানে ভূমি অধিগ্রহণ ও কেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত মেগাওয়াট প্রতি ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন-ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপনে খরচ হওয়ার কথা ৬০০ কোটি টাকা এবং ৫০০ মেগাওয়াটে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, বেজমেন্ট নির্মাণ- এসব খাতে কোনো ব্যয় না থাকার পরও ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন-ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিটের রি-পাওয়ারিং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা।