রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বীরগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

বীরগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

বীরগঞ্জের ভোগডমা আশ্রায়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতশত শিশু শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে খোলা আকাশের নীচে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে গত প্রায় ছয় মাস ধরে এভাবেই চলছে পাঠদান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। স্কুলের অবকাঠামো পুনঃনির্মানে আবেদন করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ক. খ. আলাওল হাদী বলেন, একটি কাচা ঘরে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। সরকারী দ্বিতীয় ফেজের স্কুল হওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

চলতি বছরের ৫ জুলাই কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে বিদ্যালয়ের টিনের চালা দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘরের বেড়া, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল সবই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এখন আর বাস্তবে বিদ্যালয়ের নেই কোন ঘর। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাশ নেওয়া শুরু করেন শিক্ষকরা।

বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নে এক সময় ৫ কিলোমিটারের ভেতরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। তাই এলাকায় শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিতে ভোগডমা গ্রামের শিক্ষানুরাগী মো. নুরুল ইসলাম স্কুলের জন্য দশমিক ৩৩ একর জমি দান করেন। ১৯৯৯ সালে বাঁশের চাটাই এবং টিন শেড দিয়ে পথচলা শুরু হয় ভোগডমা আশ্রয়ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি মো. মছিরউদ্দিন, সদস্য ইদ্রিস আলী, সায়েদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোবারক আলী ও নুর ইসলামের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় স্কুলটি। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ও শতভাগ পাশের দৃষ্টান্তের সূত্র ধরে শিক্ষা প্রশাসন সন্তুষ্ট হয়ে স্কুলটির রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়।

বিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, গত জুলাই মাস থেকে ঝড়ে বিধ্বস্থ বিদ্যালয়ের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান শুরু করা হয়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২৫ জোড়া বেঞ্চ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৪/আহমেদ

সর্বশেষ খবর