শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

উজিরপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে!

উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ মোড়াকাঠি গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে বাল্যবিয়ের খবর দিলেও তারা একে অন্যের উপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা অবহিত হওয়ার পরও পুলিশের উপস্থিতিতে বিয়ে হওয়ায় আইন বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ জনগণ। জানা গেছে, উপজেলার হস্তিশুণ্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাবনাজের বিয়ে ঠিক হয় আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের আলমগীর সরদারের প্রবাসী ছেলে শহিদুল সরদারের সঙ্গে। শাবনাজ গ্রামের আয়নাল হক হায়দারের মেয়ে। গতকাল আনুষ্ঠানিকতা করে শিশু কনে শাবনাজকে বউ সাজিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় শহিদুল। এ সময় উজিরপুর থানার এসআই ইয়াকুব আলী কনস্টেবলদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভোজন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তিনি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বরিশালে জরুরি সভায় অংশ নেওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা দৌলতুন্নেছা বলেন, ব্যস্ত থাকায় তিনি যেতে পারেননি, তবে ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা একটি অভিযানে বের হবেন, এমন খবরে পুলিশের একটি দল প্রস্তুত রেখেছিলেন। কিন্তু তারা আসেননি। কোনো অফিসার বিয়েতে উপস্থিত হয়ে ভোজন করেছে কিনা তা তার জানা নেই। এসআই ইয়াকুব জানান, বিয়ে অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি সেখানে যান। তবে সেটি বাল্যবিয়ে ছিল তা তার জানা ছিল না। বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করা বামরাইল এলাকার কাজী তাহের খলিফা বলেন, ছেলের বাড়িতে বসে ইসলামী কায়দায় বিয়ে হয়েছে, তিনি শুধু তথ্য এনেছেন, এখনো রেজিস্ট্রি করেননি।

সর্বশেষ খবর