মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উচ্চ আদালতে যাচ্ছি

---------------- কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিকার চাইতে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি ঋণখেলাপি নই। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) ঋণের পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। অথচ আমাকে ঋণখেলাপি দেখিয়ে মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। ব্যাংক আমার সঙ্গে ছলনা করেছে। প্রতিকার চাইতে কাল-পরশু আদালতে যাব। তিনি জানান, তার ও তার স্ত্রীর মনোনয়নের বিষয়টি যাই হোক, তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এ নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি গতকাল মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন। উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনে নির্বাচন হবে। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত আমার ‘সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লিমিটেডের নামে অগ্রণী ব্যাংকে ঋণ ছিল। ওই ঋণটি ‘সুদ মওকুফ করলে এককালীন আদায় করে দেব’ মর্মে আবেদন করি। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ৪২৭তম সভা ১০ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা ১০ শতাংশ সুদে ১০ বছরে পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসাপেক্ষে অনুমোদন করে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকও এটি অনুমোদন করে। তিনি বলেন, এর পরও আমার ও আমার স্ত্রীর নামে মনোনয়ন ফরম তোলার পর ব্যাংক ছলনা করে আমাদের ঋণখেলাপি দেখিয়েছে। আমরা যখন মনোনয়ন ফরম তুলব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন থেকেই শুনছিলাম ব্যাংক এমন একটা ছলনা করবে। কিন্তু এভাবে ছলনা করবে কল্পনাও করিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এমন কিছু হতে পারে, আমাদের মনে সন্দেহ ছিল। এ জন্য চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। সাবধানতা অবলম্বন করেই চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আদালতের মাধ্যমেও আমি বা আমার স্ত্রী নির্বাচন না করতে পারলেও আমার দলের অন্য দুই প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী ও হাসমত আলীর যে কোনো একজন নির্বাচন করবেন।

ব্যাংকের কাগজপত্রে দেখা গেছে, এ ঋণটি যখন পুনঃ তফসিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে, তখন একে ‘বিশ্রেণিকৃত’ করারই আবেদন অগ্রণী ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকও বিশ্রেণিকৃত করার অনুমোদন করা হয়েছে বলে অনুমোদন করে। এভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চেয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকও ‘বিশ্রেণিকৃত’ উল্লেখ করে অনুমোদন করে এবং সিআইবি ডাটাবেজে উল্লেখ করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর