মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভায় সমালোচনা

‘কিছু টিভি চ্যানেল দুই যুদ্ধাপরাধীর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের দিন ও তার আগের দিন কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গতকাল আলোচনা হয়েছে। অনির্ধারিত এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব চ্যানেলের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি কতিপয় প্রিন্ট মিডিয়ারও সমালোচনা করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু টেলিভিশন চ্যানেল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া ও কান্নাকাটির ফুটেজ বেশ ফলাও করে প্রচার করেছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো দুই যুদ্ধাপরাধীর একাত্তরের ভূমিকা যথাযথভাবে তুলে ধরেনি। এসব টিভি চ্যানেলের খবরে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহানুভূতিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো কোনো পত্রিকা জোড়া ফাঁসির বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যে মনে হয়- এর আগে আর জোড়া ফাঁসি হয়নি। জিয়াউর রহমানের সময়ে এক রাতে ২০-২৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

জেল-জরিমানার বিধান রেখে জীববৈচিত্র্য আইন আসছে : বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৫-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। নীতিগত অনুমোদনের প্রায় আড়াই বছর পর আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর এটাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে ২০১৩ সালের ১০ জুন এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কোনো জীববৈচিত্র্য বা জীবসম্পদ এর বিষয়ে তথ্য বা জ্ঞান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা বা বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে পারবে না। এ আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বা এ সম্পর্কিত জ্ঞান ব্যবহারের অনুমতি দিতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। আর কমিটির কাজগুলো তৃণমূল পর‌্যায় পর্যন্ত ভাগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরকারী এবং অংশীদার। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বার্থেই জীববৈচিত্র্য রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানে আমাদের বাধ্যবাধকতা আছে। তা ছাড়া এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটিতে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে। এ হিসেবেও আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।

এ ছাড়াও মন্ত্রিসভা বৈঠকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০১৫ এবং বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন-২০১৫-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় গুণগত মান (পণ্য ও সেবা) নীতি-২০১৫-এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর