শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অনধিকারচর্চার প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ওয়াশিংটনপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ হয়। পাকিস্তান নিপাত যাক, পাকিস্তান শেম শেম, পাকিস্তান ওয়ার ক্রিমিনাল ওয়ার ক্রিমিনাল, পাকিস্তান রেপিস্ট রেপিস্ট ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানানো হয় এ সময়। এনআরবি নিউজ। এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন আলাউদ্দীন আহমেদ, রফিক পারভেজ, দস্তগীর জাহাঙ্গীর, তালুকদার শামসুজ্জোহা ডন, মীর রফিকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ সেলিম, জি আই রাসেল, আবুল হাশেম শিকদার, হারুন চৌধুরী, শফিউল আলম, মনির পাটোয়ারী, আকতার হোসাইন, ওসমান খান মুন্সী, আবুল মনসুর খান ও আরশাদ আলী বিজয়। প্রবাসীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির ৩৫১৭ ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট নর্থ ওয়েস্ট স্ট্রিটে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী দেশ এবং মানবাধিকারের শত্রু আখ্যায়িত করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই।

বক্তারা বলেন, ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও একাত্তরে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি পাকিস্তান। এখনো ওরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর।

এ বিক্ষোভ থেকে পাকিস্তানকে বক্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আইয়ুব খান। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ফারুক হোসাইনও সেখানে ছিলেন।

একই দাবিতে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নিউইয়র্কে পাকিস্তানি কনসুলেটের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীরা তুমুল বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

সর্বশেষ খবর