বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক

ট্রাম্পকে বিষাক্ত বললেন টিউলিপ

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিটেনে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে বিতর্কে জড়ালেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরাও। তাকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে হাউস অব কমন্সে। সোমবার এ বিতর্ক চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। এতে অংশ নেন ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

সংসদ বিতর্কে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন ট্রাম্প একজন ‘করোসিভ’ (ক্ষয়কারক)। একপর্যায়ে ট্রাম্পকে তিনি ‘বিষাক্ত’ (পয়জনাস) বলে আখ্যায়িত করেন। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন থেকে নির্বাচিত টিউলিপ বলেন, সহিংস আদর্শ থাকার কারণে ট্রাম্পকে ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া উচিত হবে না। এর আগে ব্রিটিশ ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিউলিপ বলেন, ট্রাম্পের মতো একইরকমভাবে বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য রাখায় এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘৃণা ছড়ানো ধর্মীয় নেতাদের নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে ট্রাম্পকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না? তার মন্তব্য, এটা হওয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, যারা ট্রাম্পের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেন তিনি কৌতুক করে ওইসব কথা বলেছেন অথবা সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য এ কথা বলেননি, তাদের দিকে মুসলিমবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে নিবিড় নজরদারি প্রয়োজন।  অনলাইনে ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের জন্য তাকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ করার দাবির পক্ষে অনলাইনে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছে। টিউলিপ এ নিয়ে সোমবার হাউস অব পার্লামেন্টে বলেন, ট্রাম্পকে যদি ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া হয় তাহলে তিনি ব্রিটিশ মুসলিমদের বিপদে ফেলে  দেবেন। অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এতে প্রমাণ হয় যে, যখন মানুষ ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকে, যখন মানুষ ‘বিষাক্ত’ (পয়জনাস) কিছু বন্ধের পক্ষে থাকে, একজন করোসিভ মানুষকে ব্রিটেনে প্রবেশ বন্ধের পক্ষে থাকে তখন তারা সচেতনভাবেই ভালো কাজটি করে। তিনি মুসলিমদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা কোনো হাস্যরসাত্মক বিষয় নয়। তার শব্দগুলো মজার ছিল না। তার কথাগুলো ছিল বিষাক্ত। এসব কথা একটি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা উসকে দেয়।

এক্ষেত্রে টিউলিপ মার্কিন ব্লগার পামেলা জেলার ও রটার্ব  স্পেসারকে ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তাদের ২০১৩ সালে ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। হাফিংটন পোস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর