চাঁদা না দেওয়ায় লিজকৃত পুুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে জিন্নাত নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাইফুল ইসলাম জিন্নাতসহ ৫ জনের নামে গতকাল মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত নুরে আলম। মামলার বিবরণে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার শোয়াইর গ্রামের মাছ চাষী নূরে আলম ২০১৫ সালের ১৬মার্চ চার বিঘা দুই শতকের একটি পুকুর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় থেকে লিজ নেন। এরপর ওই পুুকুরে মাছ চাষ করতে এলে বাঁধা প্রদান করেন জিন্নাত, শোয়াইর গ্রামের মৃত জমির প্রামাণিকের ছেলে জাহেদুল প্রামাণিক, মৃত তছলিম সরদারের ছেলে হেলাল সরদার, জাহেদুল প্রামাণিকের ছেলে আরিফুল ইসলাম চঞ্চল এবং মৃত কাদের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক। নূরে আলম অভিযোগ করে জানান, প্রভাবশালীরা দফায় দফায় তার কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ৩০ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষ প্রয়োগ করে ৪ লাখ টাকার মাছ লুট করে। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় সোমবার দুপুরে জিন্নাতসহ নাম উল্লেখ করে ৫ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে জিন্নাত বলেন, পুকুরের টেন্ডার নিয়ে নূরে আলমের সঙ্গে অন্যদের বিরোধ চলে আসছিল। হয়তো বিরোধের কারণে নূরে আলম এই অভিযোগ করতে পারেন। তবে তার কাছে কোনো চাঁদা চাওয়া হয়নি। এমনকি তার পুকুরের মাছও লুট করা হয়নি। এটি ভিত্তিহীন, পূর্ব বিরোধের কারণেই আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মণ্ডল মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন ।