সাধারণত মানব দেহে দুই ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হয়। প্রথমত, অতিরিক্ত চর্বি নিতম্ব ও ঊরুদেশে জমা হয়। একে ‘গাইনয়েড ডিস্ট্রিবিউশন’ বলে। এতে শরীরের আকৃতি অনেকটা নাশপাতির মতো হয়। এটা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ পেটে জমা হয়। দেহকে আপেলের মতো আকৃতি দান করে। অর্থাৎ উদরদেশ স্ফীত হয়। একে ‘অ্যান্ড্রয়েড ডিস্ট্রিবিউশন’ বলে। এটা নারী-পুরুষ উভয়ের মাঝেই দেখা যায় এবং এ ধরনের স্নেহ পদার্থের সঞ্চয় রোগের ঝুঁকি বহন করে। মেদবহুলতার নানা কারণের মধ্যে প্রথমেই আসে আচরণগত ব্যাপার। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেদবহুল লোকেরা চিরাচরিতভাবেই (ক্যালরি খরচের তুলনায়) কম খাদ্য গ্রহণের কথা বলে থাকেন। এটা হতে পারে ছোটখাটো দু-একটি খাবার যা ঘন ঘন খাওয়া হয় অথচ আমল দেওয়া হয় না। কিছু হরমোন সংক্রান্ত ব্যক্তি বা এন্ডোক্রাইন ডিজিজ। যেমন: Cushing’s Disease, Polycystic Ovary Syndrome ইত্যাদিও মেদবহুলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, তিনটি বিষয় ভবিষ্যতে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। যথা: প্রথমত, বিপাকক্রিয়া কম হওয়া। দ্বিতীয়ত, উচ্চ শ্বাসনিক অনুপাত অর্থাৎ অধিক শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাক। তৃতীয়ত, ইনসুলিন হরমোন যা ডায়াবেটিস হতে বাধা দেয়, কার্যক্ষমতা হ্রাস। তাই ওজন নিয়ে সচেতন হতে হবে।

ডা. দিদারুল আহসান