বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
পয়লা বৈশাখ উদযাপন

রমনা-সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টার পর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পয়লা বৈশাখ রাজধানীর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথ বিকাল ৪টায় বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই দুই স্থানে বিকাল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করে সবাইকে বের হয়ে যেতে হবে। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নববর্ষ উদযাপনে কোনো হুমকি নেই। তবে বিগত দিনের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে এবং যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দুদিন আগে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানানো হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠান হবে। এনিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। মুখোশ নিয়ে আসলেও কেউ যেন তা না পরে সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। মুখোশ হাতে থাকবে। যাতে কেউ বাইরে থেকে মুখোশ নিয়ে মিছিলে প্রবেশ করে কিছু ঘটাতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবার বিকাল ৫টার পর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। এটি সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই করা হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই পার্কেই প্রবেশ ও বের হওয়ার দুটি গেট থাকবে। কিন্তু বিকাল ৪টার পর সব গেট বের হওয়ার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তখন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সংস্কৃতি কর্মীরা যেটি বলেছেন রাত ৮টা পর্যন্ত তারা নিজেরাই নিরাপত্তা দেবেন— এটি তারা ভুল বোঝাবুঝি থেকে বলেছেন। কারণ কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। সবার নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। যে যাই বলুক বিকাল ৫টার পর কাউকে পার্কে থাকতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ভুভুজেলা শব্দ দূষণ ঘটায়। এটি মানুষের শ্রবণ শক্তিকে নষ্ট করে দিতে পারে। ভুভুজেলা মাত্র গুটি কয়েক তরুণ এসব অনুষ্ঠানে বাজিয়ে থাকে। যেহেতু এটি সবার বিরক্তির সৃষ্টি করে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যারা ভুভুজেলা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল অথবা রাস্তায় মানুষের বিরক্তি সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তার স্বার্থে যেসব পরামর্শ দেওয়া হবে, ওইসব পরামর্শ মেনে চললে সবাই নিরাপদে উৎসব উদযাপন করতে পারবেন। এই মুহূর্তে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর বিশেষ হুমকি নেই। তবে সার্বিক বিবেচনায় সব প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ দিক বিবেচনা করে নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

সর্বশেষ খবর