রবিবার, ৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

জালিয়াতির মহোৎসব হয়েছে : বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ দফায়ও সরকার ভোট জালিয়াতির মহোৎসব চালিয়ে কেন্দ্র দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘৪৭টি জেলার ৭০৩টি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে, জাল ভোট দিয়ে ভোটের বাক্স ভরে রেখেছে।’ সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি ৯০ ভাগ ইউপিতে জয়ী হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার রাত থেকেই ক্ষমতাসীনরা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। বাকিটা সকালে সব ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল ও জাল  ভোটের কথা জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসন সরকারদলীয় প্রার্থীদের কারচুপিতে সহযোগিতা করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন উর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাক মিয়া, আবেদ রাজা প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দাবি করেন, ‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা মহাশ্মশানে পরিণত হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলতে থাকলে সামনের যেকোনো নির্বাচনই আওয়ামী লীগের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। গায়ের জোরে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই সরকার তাদের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছে।’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ত্রাণমন্ত্রী মায়ার নেতৃত্বে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। মায়া আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পর প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। আর মারবে না কেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও তার মন্ত্রিত্ব বহাল আছে। তার কাছে গণতন্ত্রই কী আর নির্বাচনই বা কী।’

রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্বাচন, সেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হত্যা করেছে নির্বাচন কমিশন। গণতন্ত্র হত্যার জল্লাদ হিসেবে এদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে।

সর্বশেষ খবর