রবিবার, ২২ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
ছায়া বাজেট অধিবেশন

শিক্ষিত জনগোষ্ঠীই সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা : ঢাবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শিক্ষা খাতে বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ এবং অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীই সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা। দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি না থাকলে ভালো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়া যাবে না। গতকাল ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘জন-বাজেট-সংসদ’ শীর্ষক দিনব্যাপী ছায়া বাজেট অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি এবং গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে আলোচনায় অংশ নেন অর্থ-মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক, বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি কবি কাজী রোজী, ককাসের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দীন আহমদ, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সভা প্রধান ড. প্রতিমা পাল মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম। উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ জন অংশীদারিত্বের সন্ধানে’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা পুনঃসংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সবচেয়ে অগ্রাধিকারের বিষয় হলো প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অধিকতর বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে মানসম্মত শিক্ষা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক বিশেষ প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষকরা যেমন বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করেন সেরকম প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষকদেরও সে সুযোগ দিতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, দায়িত্বের দিক থেকে আমাদের সবাইকে সংবেদনশীল হতে হবে। শিক্ষককে সম্মান করতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধি যদি শিক্ষককে হেয় করেন তাহলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষকদের সম্মানজনক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে তাই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাতে মেধাবী শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হতে আগ্রহী হবে। মেধাবী শিক্ষক না হলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে না। জাতীয় অগ্রগতিও সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর