ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ত্রিপুরায় ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টসহ আটক তিন বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা কেন দিল্লি হয়ে তুরস্কে যাওয়ার চেষ্টা করলেন সে বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ ওই তিন বাংলাদেশি কর্মকর্তার সঙ্গে সন্ত্রাসী যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না।
শনিবার পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘তিন বাংলাদেশি কর্মকর্তার ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনাটা খুবই রহস্যময়। হতে পারে তারা তুরস্ক কিংবা অন্য কোনো মুসলিম রাষ্ট্রে গিয়ে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদানের পরিকল্পনা করছেন। যাই হোক, আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশ বলেছে, সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া কারাগারে বন্দী রয়েছেন ওই তিনজন। তাদের পুলিশের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
কিন্তু তুরস্কে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।তিনি আরও বলেন, আটক হওয়া ওই তিন বাংলাদেশি কর্মকর্তার বয়স ২৮ থেকে ৩৮ বছর। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণের বিষয়ে কঠোর কড়াকড়ির ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো এবং মিয়ানমারের সীমান্ত ব্যবহার করছে।
এদিকে সিপাহীজলার পুলিশ সুপার প্রদীপ দে জানান, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপর্ণ। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
২২ মে পশ্চিম ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায় তিন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। নয়াদিল্লি থেকে তুরস্কে যাওয়ার জন্য তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে জানা যায়। তাদের কাছে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট ছাড়াও বড় মাপের কয়েকটি লাগেজ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৩০০ ইউএস ডলার এবং বিশাল পরিমাণ তুরস্ক ও ভারতীয় মুদ্রা।