শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধ-গণপিটুনিতে নিহত ৪ জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

মঙ্গলবার রাতে যশোরে পৃথক দুটি ঘটনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ও ‘গণপিটুনিতে’ নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে। ঝিকরগাছায় গণপিটুনিতে নিহত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন হলেন যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারের চা দোকানি খোরশেদ আলম, অন্যজন একই এলাকার ফিরোজ বিশ্বাস। খোরশেদের মেয়ে ও ছেলে বুধবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে বাবাকে শনাক্ত করেন। শনাক্ত হওয়া খোরশেদ আলম (৫০) শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের আলম আলী সরদারের ছেলে। তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামে সপরিবারে বসবাস করতেন। খোরশেদের মেয়ে সুমি জানান, তার বাবা সোমবার নাভারণে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সুমি বলেন, ঝিকরগাছায় তিন অজ্ঞাত ব্যক্তি মারা গেছেন শুনে ছোটভাই মনির হোসেনকে নিয়ে আমি হাসপাতালে এসে বাবার লাশ চিনতে পারি। সুমি জানান, একটি বিশেষ ঘটনার কারণে তারা শার্শার কাগজপুকুরে না থেকে সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে ‘বিশেষ কারণ’ কী তা তিনি স্পষ্ট করেননি। সুমি জানান, তার বাবা খোরশেদ আলম রূপদিয়া বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন। তার নামে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই বলে সুমি দাবি করেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, খোরশেদের নামে কোতোয়ালি থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ নেই। তবে অন্য কোনো থানায় মামলা আছে কিনা তা এখনই বলা যাবে না। এদিকে নিহত আরেকজনের পরিচয় মেলে বুধবার রাতে। তিনি হলেন রূপদিয়া বাজারের খাদ্যগুদামের পেছনের এলাকার বাসিন্দা ইনতাজ বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ বিশ্বাস। তার নামে থানায় ৮টি ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, ফিরোজ নামে কোনো ব্যক্তির সন্ধ্যান পেতে এখনো কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরে কপোতাক্ষ নদের তীরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দাবি করেছে, ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়ে তারা মারা গেছেন।

ওদিকে একই রাতে সদর উপজেলার যশোর-মনিরামপুর সড়কের সুতিঘাটায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয়ও গতকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

সর্বশেষ খবর