মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে দুই কিডনির ভূমিকা অপরিসীম। রমজান মাসে যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত কিডনি রোগে ভুগছেন তারা অবশ্যই ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। কিডনি রোগীরা রমজান মাসে খাবারের ব্যাপারেও একটু অনিয়ম করেন, কারণ বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল যেমন আম, কলাসহ বেশি পটাশিয়ামযুক্ত ফল খেয়ে থাকেন কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হলে হাইপারক্যালেমিয়া থেকে রোগীর আকস্মিক মৃত্যু হতে পারে Cardlac Arrythmia থেকে। তাই বেশি পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাবেন না এবং শাকসবিজ লিচিংয়ের মাধ্যমে অর্থাৎ দুই ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে অথবা পিস করে পানি ফেলে রান্না করবেন। অনেক সময় ফলে কার্বাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে। তাই খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে খোসা ফেলে ফল খেতে পারেন। কিডনি রোগীরা অধিক মাত্রায় ভাজাপোড়া এবং ডাল বা ডালের তৈরি জিনিস খাবেন না। বাইরের খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি মনোযোগী হবেন। কিডনি রোগীরা আলগা লবণ বা অধিক পানি খাবেন না, কারণ কিডনি বিকল রোগীদের প্রস্রাব স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় কম হয়, তাই অতিরিক্ত পানি হার্টে এবং ফুসফুসে জমে Left Ventricular Failure (LVF) থেকে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
ডা. সহেলী আহমেদ সুইটি সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা
মেডিকেল কলেজ, চেম্বার : ল্যাব এইড, উত্তরা, ঢাকা।