মুখের দুর্গন্ধ (হ্যালিটোসিস) হচ্ছে এমন একটি বিব্রতকর অবস্থা, যা মানুষকে সামাজিক জীবন থেকে দূরে সরিয়ে একঘরে করে ফেলে। মুখের দুর্গন্ধের কারণে মানুষ জনসম্মুখে যেতে লজ্জাবোধ করে।
নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়— অনেক ধরনের ধরনের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়, তবে এক্ষেত্রে অ্যালকোহলযু্ক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখগহ্বরকে শুষ্ক করে তুলে। যেহেতু এই পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। অতএব, ওই সময় মাউথওয়াশ ব্যবহার না করে অল্প গরম লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে কুলকুচা করা ভালো। তাছাড়াও এটার পরিবর্তে অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না। সজীব নিঃশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় যোগ করা যেতে পারে কয়েক ফোঁটা চা-পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল, যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে অনেক দক্ষতার সঙ্গে। যে সব মানুষ মুখের দুর্গন্ধে ভুগছেন তাদের উচিত প্রত্যেকবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচা করা। তাহলে মুখের ভিতরের জমে থাকা খাদ্য কণা বের হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না। বেশিরভাগ মানুষ শুধু তাদের দাঁত পরিষ্কার করেন কিন্তু জিহবা পরিষ্কার করেন না। কিন্তু জিহ্বা পরিষ্কার করাটাও অনেক জরুরি।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীসাম্মানিক উপদেষ্টা, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।