শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোদির ‘মন কি বাত’ বাংলায় শোনা যাবে বাংলাদেশেও

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভাষা বাংলা। তাই সে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে এবং বন্ধুত্বের বার্তা দিতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ এবার সম্প্রচার হবে বাংলাদেশেও এবং তা বাংলা ভাষায়। বর্তমানে দেশটির সরকারি ভাষা হিন্দি ছাড়াও ইংরেজি ও কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষায়ও ‘মন কি বাত’ শোনা যায়। প্রতি মাসের রবিবার রেডিওতে শোনা যায় এ অনুষ্ঠান। তবে এই প্রথম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তা শোনা যাবে বিদেশেও। প্রতি মাসে অন্তত একবার করে মোদির সেই ‘মন কি বাত’ শোনা যাবে বাংলাদেশেও। সরকারি সূত্রে খবর, ভারতের মতো বাংলাদেশের শ্রোতারাও মোদিকে প্রশ্ন করতে পারবেন, তারাও তাদের মনের কথা বলতে পারবেন। আর মোদির এই ‘মন কি বাত’ সম্প্রচার হবে দুই দেশের মধ্যে চালু হতে যাওয়া ‘আকাশবাণী মৈত্রী’র মাধ্যমে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পুরোটাই থাকবে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কিত। যদিও এই রেডিও কূটনীতির প্রধান উদ্দেশ্যই হলো দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি করা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের মাটি থেকে পাকিস্তান ও চীনা বেতারকে আটকানো। বাংলাদেশের স্থানীয় এফএম চ্যানেলের মাধ্যমে সে দেশে সম্প্রচার করার বিষয়ে আকাশবাণী মৈত্রী উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের বিশালসংখ্যক শ্রোতার কাছে পৌঁছতে খুব শিগগির বাংলায় বিশেষ সম্প্রচার পরিসেবা চালু করতে চলেছে ভারতের সরকারি বেতার বার্তা সংস্থা ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ (এআইআর)। দীর্ঘ ছয় বছর পর ‘আকাশবাণী মৈত্রী’ নামে নতুন মোড়কে ওই পরিসেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে।

এ লক্ষ্যে কলকাতার কাছেই চুঁচুড়ায় ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সমিটারও বসানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি মাসেই এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে পারে বলে খবর। অনুষ্ঠানের সূচনা হবে বিশিষ্ট অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চ্যাটার্জির গলায় কবি জীবনানন্দ দাশের ‘বাংলার মুখ আমি দেখেছি’ কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে। আবৃত্তির পরই থাকবে সংগীতশিল্পী ঊষা উত্থুপের গলায় ‘গঙ্গা আমার মা’ গানটি।

শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে আকাশবাণীর অনুষ্ঠানমালাও সাজানো হয়েছে সুন্দরভাবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকালবেলায় থাকছে ‘সকালের আড্ডা’। যেখানে থাকবে দুই পাড়ের প্রখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে আড্ডা। এর পাশাপাশি ‘ষোলো আনা বাঙালি’ নামে আরেকটি মনকাড়া অনুষ্ঠান থাকবে। সেখানেও দুই দেশেরই বিভিন্ন জগতের সেলিব্রেটি, লেখক, শিল্পী, বিদ্বজ্জনেরা উপস্থিত থাকবেন। তাদের সাফল্যের কাহিনী বর্ণনা করবেন। ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠানমালায় রাখা হয়েছে ‘ক্যাম্পাসে আড্ডা’। দুই দেশেরই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও থাকছে ‘রিয়েলিটি শো’, কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠানও।

সর্বশেষ খবর