মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুরে খাদেম হত্যায় আসামি ১৪ জেএমবি সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আট দিন আগে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ মামুন গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ৩ জুলাই জেএমবির ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার ও অন্যদের পলাতক দেখানো হয়েছে। কারাগারে যে সাতজন রয়েছেন, তাদের মধ্যে জেএমবির রংপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা (৩৩), সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া (৩২) ও আবু সাঈদ (২৮) পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সরোয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩৩) দিনাজপুরের বিরামপুর এবং সাদাত ওরফে রতন মিয়া (২৩) ও তৌফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৫) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা। অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো জেএমবি সদস্যদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব ওরফে আন্ধি (২৬) ও সাখাওয়াত হোসেনের (৩০) বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। আর বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার (৩৫) ও রাজীবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫) বগুড়ার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। এ ছাড়া সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল (২১) কুড়িগ্রামের রাজারহাট, নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে হাসান (২৬) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও চান্দু মিয়ার (২০) বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়। এই ১৪ জনের মধ্যে মাসুদ, ইছাহাক, লিটন, আবু সাঈদ, সাদ্দাম, নজরুল ও সাখাওয়াতকে জাপানি হোশি কোনিও হত্যা মামলার আসামি করে একই দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুন অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে জানান, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরিফের খাদেম রহমত আলী (৬০) গত বছর ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় মাসুদ রানার নেতৃত্বে কয়েকজন জেএমবি সদস্য তার ওপর হামলা চালান। তারা এলোপাতাড়ি কোপানোর পর গলা কেটে রহমতকে হত্যা করে চলে যান। মাসুদ রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকারও করেন। ওই ঘটনার পর স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার আবদুস ছাত্তার মাওলানার ছেলে মোর্শেদ আলী (৩৬) ও তার ভাতিজা শহিদুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতারের পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরা দুজনই কাউনিয়ার মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মোর্শেদ ও শহিদুলকে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তে তাদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাদের অভিযুক্ত করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর