শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

টিআইবির প্রতিবেদন ভিত্তিহীন-মনগড়া

—পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান। টিআইবির প্রতিবেদনের তথ্য মনগড়া ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রিপোর্ট জরিপেরও আট মাস পর প্রকাশ করে। এটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি সরেজমিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বছরের তিন-চার মাসের তথ্য পরবর্তী দু-তিন মাসের মধ্যে উপস্থাপন করতে টিআইবির প্রতি আহ্বান জনান। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অধিদফতরের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ২৯ জুন সেবা খাতে দুর্নীতিসংক্রান্ত জরিপ ২০১৫ প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। রিপোর্টে দেশের সেবা খাতগুলোর মধ্যে পাসপোর্ট বিভাগ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষকে এ খাতের সেবা নিতে দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার হতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। টিআইবি জরিপের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা তাদের গবেষণায় দৈবচয়ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। পাসপোর্টের জন্য তারা মাত্র ৪৮০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। পক্ষান্তরে আমরা এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ পাসপোর্ট প্রদান করেছি। তাদের উচিত ছিল কমপক্ষে ১ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া। তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মোট সংখ্যা মাত্র .০০০০৩৩ শতাংশ। সুতরাং তাদের জরিপ ভুল। শুধু ভুলই নয়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এক প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, হয়রানি কিছু হচ্ছে। তার মানে ৭৭ শতাংশ নয়। সেটা হয়তো ১/২ শতাংশ হবে।

পাসপোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন, ব্যাংক ফি জমা, অ্যাটাসমেন্ট, জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য বিষয়ে দুর্ভোগ বা ভোগান্তি হলে সেগুলো পাসপোর্ট বিভাগের নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া পাসপোর্ট সেবা খাতে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে এ পর্যন্ত ২২৭ জন দালাল গ্রেফতার, হয়রানি কমাতে অনলাইন ফরম পূরণ, পাঁচটি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।

আগামীতে ছবি সত্যায়ন না করার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে নাগরিকদের স্মার্ট কার্ডে দেওয়া হলে কার্ডধারীদের ভেরিফিকেশন না করা, ঢাকায় গাবতলী ও বাসাবোয় আরও দুটি নতুন অফিস স্থাপনসহ বিদ্যমান পাসপোর্ট অফিসগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন মাসুদ রেজওয়ান। পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর ও ই-পাসপোর্ট দেওয়ার পরিকল্পার কথাও জানিয়ে বলেন, সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে ছয়-আট মাসের মধ্যে তা চালু করা যাবে। তবে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার কথা ভাবা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর