ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া-১ ও গৌরীপুর-৩ শূন্য আসনের ভোটে নৌকার প্রার্থীরা বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। তবে গৌরীপুরে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে তিন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। ভোটের ফলাফলে জানা গেছে, ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জুয়েল আরেং। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা খাতুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৮ ভোট।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসন থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শামসুজ্জামান জামান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭২ ভোট। গৌরীপুরের ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট বাতিল করা হয়। গৌরীপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী ও জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হারুন অর রশিদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
ভোট বর্জন : গৌরীপুরে ভোট কারচুপির অভিযোগ ও কেন্দ্র থেকে নিজ এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হাফেজ আজিজুল হক, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুজ্জামান জামাল ভোট বর্জন করেন।উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ও ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. মুজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুর পর এ আসন দুটি শূন্য হয়।