বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
মংলা কাস্টম হাউস

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সোয়া তিনশ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়

বাগেরহাট প্রতিনিধি

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করেছে মংলা কাস্টম হাউস। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৫৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২ হাজার ৯৬৮ দশমিক ৫০ কোটি টাকা; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৮০ ভাগ বেশি। একইভাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা বা ২২ দশমিক ৮৬ ভাগ বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছিল। মংলা কাস্টম হাউসের কর কমিশনার ড. মোহাম্মদ আল-আমিন প্রামাণিক জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৫ -১৬ অর্থবছরে পণ্য খালাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ ভাগ। তবে খালাসকৃত এই পণ্যের ৫৫ ভাগই শূন্য হারে আমদানিকৃত। সেই বিবেচনায় শুল্কযোগ্য পণ্যের পরিমাণ আনুমানিক ১৫-১৬ শতাংশ। মংলা বন্দরে এই আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্রধান রাজস্ব আদায়ের খাত হচ্ছে আমদানিকৃত গাড়ি। তিনি দাবি করেন, কাজের স্বচ্ছতা, মিথ্যা ঘোষণা প্রতিহতকরণ, কর ফাঁকি উদ্ঘাটন, পুরনো মামলা নিষ্পত্তি, ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়ন, প্রতি মাসে নিলাম অনুষ্ঠান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মংলা কাস্টম হাউসের সঙ্গে জড়িত একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পিছিয়ে পড়া মংলা বন্দরে কর্মতত্পরতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি কিছু প্রণোদনা সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি অসাধু চক্র প্রতিনিয়ত ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করছে।

এসব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

ড. মোহাম্মদ আল-আমিন প্রামাণিক জানান, গত অর্থবছরে কাজের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে মিথ্যা ঘোষণা উদ্ঘাটন থেকে জরিমানা ও অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা; যা ইতিপূর্বে কখনো সম্ভব হয়নি। একই সময় বিগত সময়ের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি থেকে আদায় হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। শুল্কায়ন করে পণ্য খালাসের পর পুনরায় সে পণ্যের ওপর বর্ধিত কর আদায় করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ কোটি টাকা। সিমেন্ট আমদানি কর পড়ে থাকা ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়ন থেকে আদায় হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ কোটি টাকা। মোট রাজস্বের ১২১ দশমিক ৫১ কোটি টাকা আদায় হয়েছে শুধু কাজের স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য।

সর্বশেষ খবর