বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য প্রতিদিন

‘গ্যাস’কে বলুন ব্যাস!

‘গ্যাস’কে বলুন ব্যাস!

বাঙালির পেটরোগা বদনাম চিরকালই। বাংলার আবহাওয়ার কারণে হোক, বা অন্য যে কোন কারণেই হোক গ্যাস-পেটজ্বালা বাঙালির পিছু ছাড়ে না। হাজার ওষুধেও এ জ্বালা থেকে যেন মুক্তি নেই। তবে সত্যিই কি নেই? আসুন বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাক।

কেন এ জ্বালা: বুক জ্বালা করলেই অনেকে ধুম করে একটা অ্যাণ্টাসিড খেয়ে ফেলেন। খুব কষ্ট বাড়লে তবে হয়তো ডাক্তারের কাছে যান। সেখানে গিয়ে ডাক্তারকে গ্যাসের সমস্যার কথাই জানান। চিকিৎসকও উপশমের জন্য নানাবিধ ওষুধ দিয়ে তাদের কষ্ট কমিয়ে দেন। কিন্তু আসলে হয়তো রোগীর হার্টের সমস্যা বা ডায়াবেটিস আছে কিংবা পাকস্থলীতে গন্ডগোল। সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় পরবর্তীকালে ফের বদহজম দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিক আলসার, হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া পেট জ্বালার অন্যতম কারণ। যারা রাস্তার খাবার বেশি খান তাদেরই এই সমস্যায় ভুগতে হয় বেশি। মাথা ধরা, জ্বরের ওষুধ খেলেও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে পেটে প্রদাহ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকে সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন প্রচুর শাক-সবজি, সালাদ খেতে হবে। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন। গ্যাস্ট্রিকে ভুগলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। রাতে খাওয়ার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। খাওয়ার পর দু-তিন ঘণ্টা ঘুমাবেন না। একবারে অনেকটা না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান। মোটা হলে ওজন কমান।

ডাক্তারকে বলুন আর কী কী সমস্যায় ভোগেন। পারিবারিক ইতিহাস জেনেও চিকিৎসক অনেক সময় গ্যাসের কারণ অনুসন্ধান করে থাকেন। -হেলথ জার্নাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর