শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

কর আদায়ে মেয়র আনিস ও খোকনের তিন প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ভোগের জন্য কোনো পণ্য আমদানি করলে এবং উৎপাদিত কোনো পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নির্ধারিত হারে কর আদায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন। সরকারি কোষাগারের জন্য বাড়তি কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তারা এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ছাড়াও সরকার নির্ধারিত করের ওপর উপ-কর আদায়ের প্রস্তাব দিয়ে এনবিআরের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচার রাজস্ব ভবনে এনবিআর আয়োজিত ‘রাজস্ব আদায়ে অংশীদারি সংলাপে’ অংশ নিয়ে এই প্রস্তাব দেন আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সংলাপে রাজধানীর দুই মেয়র আরও বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের আওতায় এই ধরনের কর নেওয়ার সুযোগ আছে। এ সময় তারা আইনের কোন ধারায় এই ধরনের কর নেওয়ার সুযোগ আছে— তা তুলে ধরেন। ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক বলেন, নাগরিকদের যথাযথ সেবা দিতে এখন বাড়তি অর্থ প্রয়োজন। তাই কোথায় কোথায় রাজস্ব আদায়ের সুযোগ আছে— তা খুঁজতে হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এ শহরের জন্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করলে কিংবা এ শহর থেকে পণ্য রপ্তানি করলে যে রাজস্ব আদায় হবে— তা নগরবাসীর জন্য খরচ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ৮২ ধারায় করপোরেশনকে ২৬টি খাতে কর, উপকর, রেট টোল ও মাশুল আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ধারা অনুযায়ী নগরীতে ভোগ, ব্যবহার বা বিক্রির জন্য পণ্য আমদানির ওপর কর আরোপ করতে পারবে করপোরেশন। নগরে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও কর বসাতে পারবে। এ ছাড়া সরকার কর্তৃক আরোপিত করের ওপর উপকর বসানোর ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। নগরে পণ্য আমদানি বলতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি, নাকি সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা— তা অবশ্য আইনে পরিষ্কার করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর