বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ একটি সফল উন্নয়নের গল্প

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি কিমিয়াও ফান

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বাংলাদেশ একটি সফল উন্নয়নের গল্প’। এ মন্তব্য করলেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নিজেদের উন্নয়ন অর্জনের অনেক কিছুই বাকি পৃথিবীকে দিতে পারে এই দেশ। ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে সচিবালয়ে আসেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফান। এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেছিল, আজ তারাই উন্নয়নের প্রশংসা করছে। যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিল, তারা আবারও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। এর অর্থ কোনো কিছুই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে চার দেশীয় আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হবে। বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের জন্য আপাতত ১২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রস্তাব বিবেচনার পর এ বরাদ্দ আরও বাড়তে পারে। কিমিয়াও ফান বলেন, ‘আমরা এখানে কেবল অর্থায়নই করি না। আমরা এখানে অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতাও নিয়ে আসি। নানাভাবে বাংলাদেশ নিজেই সফল একটি উন্নয়নের গল্প। নিজেদের উন্নয়ন অর্জনের অনেক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ বাকি দুনিয়াকে দিতে পারে।’ স্বল্প জমিতে এত বড় জনসংখ্যার এই দেশকে ১৯৭৪ সালের পর আর কখনো যে দুর্ভিক্ষে পড়তে হয়নি, তাকে ‘একটি বড় অর্জন’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষায় লিঙ্গসমতা বিধানে বাংলাদেশের বিরাট অর্জন রয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্পে চমকপ্রদ এক অধ্যায় হলো তৈরি পোশাকশিল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন; যেখানে অধিকাংশ কর্মী নারী, তারা দরিদ্র গ্রামীণ পরিবার থেকে এসেছে।’

সর্বশেষ খবর