সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
কামান গোলায় ২১ হত্যা

২০ বছরেও মেলেনি বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় ছোড়া কামান গোলায় আরও ২১ জন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার ২০ বছরেও সম্পন্ন হয়নি। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলাটি (নম্বর ৮১(১১)৯৬) এখনো আদালতেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ৫২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ইফতেখার হোসেন জানান, আগামী ৬ অক্টোবর ২০১৬ মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। মামলার বাদী মোহাম্মদপুর শেরশাহসুরি রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী তার আরজিতে জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে গোলার আঘাতে তিনি আহত হন। এ সময় তিনি কান্নাকাটির শব্দে শেরশাহসুরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়ি এবং শাহজাহান রোডের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়িতে গিয়ে মোট ২১ জনকে কামান গোলার আঘাতে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ ব্যাপারে বাদী তত্ক্ষণাৎ মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজেও আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান। তিনি মামলা দায়েরের পরিবর্তে শিগগির মৃতদেহগুলো স্ব স্ব ধর্মমতে শেষকৃত্য সম্পন্নের পরামর্শ দিয়ে মোহাম্মদ আলীকে ফেরত পাঠান। দীর্ঘদিন এ বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ পাননি তিনি। অবশেষে ১৯৯৬ সালে পত্রপত্রিকা সূত্রে মোহাম্মদ আলী জানতে পারেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেও মামলা করা যাবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাদী ’৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় তারই ২১ জন আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করার অভিযোগ তুলে কর্নেল রশিদ, ফারুক, ডালিম গংদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ পুলিশি তদন্তের পর চার্জশিট দাখিলের পর থেকেই আদালতে ঘুরপাক খাচ্ছে মামলাটি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর