বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে নাজমুল হুদার কর্মচারী খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃণমূল বিএনপির প্রধান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ব্যক্তিগত কর্মচারী মো. আমিনুল ইসলামের হত্যাকারীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। আর পরিবারের অভিযোগ, লেনদেনের কারণে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল পুলিশের একটি দল হত্যার পরিকল্পনাকারীদের একটি আস্তানায় অভিযানও চালিয়েছে। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করতে পারেনি। গত শনিবার সকাল ১০টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি বাবুরায়পাড়া থেকে আমিনুলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার আলামিন মঞ্জিলের একটি ফ্লাটের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদি থানার গোলাই ভাঙ্গা গ্রামে। লাশ উদ্ধার শেষে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিহত আমিনুলের বড় ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, এজহারে যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছি। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে দুজন নারীকেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

নিহতের বড় ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, এলাকার কুদরত আলী নামে এক আদম ব্যবসায়ীর কাছে আমিনুল অনেক টাকা পেত। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে এককালীন সে আমিনুলের কাছে তিন লাখ টাকা নেয়। পরে আরও কিছু নিয়েছিল। সব মিলে তার কাছে আমার ছোট ভাই প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পেত। সেই টাকা কুদরতের কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাওয়া হচ্ছিল। ঘটনার দিন টাকা চাওয়ার জন্যই আমিনুলকে কুদরত খুন করেছে বলে আমাদের সবার ধারণা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। খুব শিগগির হত্যার পরিকল্পনাকারীদের আটক করা হবে। এরই মধ্যে আমরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করছি না। 

নিহতের স্বজনরা জানান, আমিনুল ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। পরদিন সকালে পুলিশ খবর দিলে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর