সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলায় লেখা হবে প্রকল্প প্রস্তাবনা

———————— পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামীতে প্রত্যেক প্রকল্প (প্রস্তাবনা) বাংলায় লেখা হবে। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকায় নোটিস এবং সাইনবোর্ডে বাংলা লেখা হবে। আর বিদেশি প্রকল্পগুলোতে বাংলা এবং ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ছুটি ছাড়া কোনো প্রকল্প পরিচালক এলাকা ছাড়তে পারবে না বলেও কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন আছে। তাই প্রকল্প পরিচালকদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থান করতে হবে। গতকাল পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডারস কমিটির ১০ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে টার্গেটে পৌঁছতে হবে। ২০২১ সালে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিছু হলেও আমরা পজিটিভ নিউজ পাচ্ছি, যা আগে পাওয়া যেত না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের দেশে বেকারত্বের হার কম। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প এলাকায় পরিচালকদের অবস্থানের বিষয়টি মনিটরিং করা হবে। এক মাস পর পর এ বিষয়ে প্রতিবেদনও দিতে হবে। বাংলা ভাষায় প্রকল্পে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) তৈরি করলে সব জনগণ সহজেই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন। এখন দেশের সব মানুষই সচেতন।

জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি : পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাতীয় উন্নয়নের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময়ই তার বিস্তারিত তথ্য সর্বসাধারণকে অভিহিত করতে হবে। সার্বিক তথ্য ইংরেজির বদলে বাংলায় লিখে রাখতে হবে যেন সহজেই বোঝা যায়।

সভায় অন্য বক্তরা বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সব পর্যায়ের আপডেট প্রাইভেট সেক্টরকে জানাতে হবে। এখন সেই পরিবেশ না থাকলেও তা সৃষ্টি করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মান নিশ্চিত করতে হলে জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশের চারটি জেলায় এ নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বক্তরা বলেন, গ্রামাঞ্চলে মূলত স্থানীয় মানুষের দান করা জমির ওপর দিয়েই চলাচলের রাস্তা করা হয়। সরকার পরবর্তীতে সেই রাস্তার উন্নয়ন করে দেয়, পাকা করে দেয়। আমরা জনগণের দান করা রাস্তার উন্নয়নে কাজ করছি, অথচ সেখানে কী কাজ হচ্ছে এটা জনগণ জানবে না—তা হতে পারে না।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি কার্যালয়ে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এ সভার আয়োজন করে। এ ছাড়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এতে সহযোগিতা করে। সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আইএমইডি সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, বিশ্ব ব্যাংকের ক্রয় বিশেষজ্ঞ ড. জাফরুল ইসলাম, স্থপতি জয়নাল আবেদীন, টিআইবির পরিচালক রেজাউনুল হক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, সিপিডির পরিচালক তৌহিদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর