একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তত্পরতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম যে তারা লেজগুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এবার দেশের সব মানুষ এমনভাবে এক হয়েছে যাতে জঙ্গিরাও পালাবে। গতকাল দুপুরের নাটোরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি  আরও বলেন, দেশের মানুষ জঙ্গিদের পছন্দ করে না। জামায়াত ও ছাত্রশিবির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে দেশে জঙ্গি তত্পরতা চালিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, যারা গত কয়েক বছরে যানবাহন ও অফিস আদালতে অগ্নিসংযোগ, বৌদ্ধ বিহার পোড়ানো এবং ১৯ জন পুলিশকে হত্যা করেছে— সেসব করে সফল না হওয়ায় তারা এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর সদরের এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল। নাটোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এমপি, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রত্না আহমেদ প্রমুখ।

যানজটে ভোগান্তি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কারণে নাটোর শহরের প্রধান সড়কের ডিভাইডার সরিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দুপুর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এই সমাবেশ করতে সদর উপজেলার প্রায় সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ রেখে সব শিক্ষক-কর্মচারী ও  ছাত্রছাত্রীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন।