মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

কল ড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতি ৩৪৫ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুঠোফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ কথা ভেঙে যেতে শুরু করে। অন্য প্রান্ত থেকে কী বলা হচ্ছে আর বোঝা যায় না। ফলে গ্রাহক কল কেটে নতুন করে কল দিতে বাধ্য হন। এ ঘটনার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কারিগরি ভাষায় এটাই হলো কল ড্রপ। এতে প্রতিদিন গ্রাহকের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এরূপ কল ড্রপে প্রতি বছর গ্রাহকের পকেট থেকে ৩৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা চলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর খবর দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

গতকাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এরূপ সূক্ষ্ম কারচুপির কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে অপারেটরদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ তত্ক্ষণাৎ পরিশোধ করতে হয়। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকেও চলতি বছরের মার্চে কল ড্রপ বন্ধ অথবা গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কল ড্রপ হলে গ্রাহককে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে কল ড্রপ অব্যাহত থাকলেও কোনো গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাননি।

বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, দেশে মুঠোফোনের নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১১ কোটি ৭০ লাখ। প্রতিদিন কল ড্রপ হয় ১ কোটি ৬০ লাখ মিনিট। সর্বনিম্ন কল রেট ৬০ পয়সা করে ধরলে প্রতিদিন কল ড্রপের ফলে গ্রাহকের ক্ষতি হয় ৯৬ লাখ টাকা, যা মাসিক ২৮ কোটি ৮০ লাখ। এক বছরে তা দাঁড়ায় ৩৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকায়।

সর্বশেষ খবর