রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

টেক্সটেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রাপ্তি নিয়ে শেষ হলো চার দিনের ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬। রাজধানীর কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা—আইসিসিবিতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিউশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড’—সেমস গ্লোবাল জানিয়েছে, প্রর্দশনীতে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছেন। এমন সাফল্যের মুখ দেখে আগামী বছরের টেক্সটেক প্রর্দশনীর ৭০ শতাংশ বুকিংও পেয়েছে সেমস। গতকাল সন্ধ্যায় শেষ হওয়া এই টেক্সটেক শুরু হয় গত বুধবার। এই প্রর্দশনী উদ্বোধনের পর প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ঢল দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা নিত্য-নতুন অত্যাধুনিক সব মেশিনারিজ, কেমিক্যাল, এক্সেসরিজ, উপাদানের সম্ভার ও ফেব্রিক্সসহ সব ধরনের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন। প্রদর্শনীর সাফল্য তুলে ধরে সেমস গ্লোবালের হেড অব মার্কেটিং আবু নাঈম মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশি হয়েছে এবারের প্রর্দশনীতে। এই অর্জন শুধু আমাদের নয়, দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ। এবারের সাফল্যের পরিমাণটা এত বেশি যে, আগামী বছর আমাদের যে টেক্সটেক হবে, তার ৭০ শতাংশ বুকিং এই প্রর্দশনীতেই দিয়েছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আইসিসিবির চারটি হল ও আরও ৯টি প্যাভেলিয়নে পোশাক ও বস্ত্রখাতের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্বের ২৩ দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে অংশ নেয়। মনোমুগ্ধকর এই প্রদর্শনীর সব স্টল-প্যাভেলিয়নে সাজানো বস্ত্র ও পোশাকখাতের আন্তর্জাতিক মানের পণ্যগুলো ভোক্তা, দর্শক ও উদ্যোক্তারা পরখ করছেন গভীর মনোযোগ দিয়ে। আলাপচারিতায় একে-অপরের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তুলছেন।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, বিশ্বায়নের এই যুগে পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে টেক্সটেক বাংলাদেশ এক্সপো, ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ান অ্যান্ড ফেব্রিকশো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর