সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
জি-২০ সম্মেলন শুরু

আলোচনা বিশ্ব অর্থনীতি

প্রতিদিন ডেস্ক

চীনের হাংচৌতে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনীতির দেশের এই সংগঠনের সম্মেলন চীনে এই প্রথম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এই সম্মেলন যেন শুধু ‘খালি কথা’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। বিশ্ব অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কী করতে হবে তার তাগিদ দেন শি জিনপিং। সম্মেলনের শুরুতে চীনের প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে আসা বিশ্ব নেতাদের স্বাগত জানান। তাদের সঙ্গে করমর্দন করেন। সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা স্টিল-শিল্প এবং বহুজাতিক কর সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ২০ অর্থনীতির ভূমিকা তুলে ধরেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যেমন অর্থায়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। তবে সম্মেলনে সবার দৃষ্টি ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের দিকে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার জন্য গণভোটের পর এটাই কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রথম অংশগ্রহণ। এ ছাড়া এ সম্মেলনের আরও গুরুত্ব বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেষ রাষ্ট্রীয় সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছাড়াও বিশ্ব স্টিল উৎপাদনে চীনের ভূমিকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অধিক হারে সস্তা স্টিল উৎপাদন করছে চীন, যার ফলে ইউরোপের স্টিল-শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইয়ুংকার। তিনি বলেন, চীনকে অবশ্যই তাদের অধিক উৎপাদনে যাওয়ার কারণ বলতে হবে। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের অধিক উৎপাদনের কারণে কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপের স্টিল-শিল্প। চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে বহু শ্রমিককে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডে অ্যাপলের কর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়। জি-২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার একদিন আগে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আবারও কমানোর ইঙ্গিত দেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে।

এর আগে জুলাইতে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমায় সংস্থাটি। তারা জানান, চলতি বছর বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।

এ ছাড়াও সম্মেলনের আগের দিন প্যারিসে সম্পাদিত বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিতে অনুসমর্থন দিয়েছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণকারী দুই দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। জি-২০ সম্মেলনের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুনের হাতে অনুসমর্থনের দলিল তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দুই দেশের এই চুক্তিতে অনুসমর্থনকে পরিবেশ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্বের ১৮০টি দেশের সমর্থনে করা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মূল লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সহায়তা  দেওয়া। এএফপি

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর