শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে ২৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০১৬-২০ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জে ২৫ বিঘা জমির ওপর ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সংকট নিরসনে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে উল্লেখ করে জানান, এই ছাত্রাবাসে ১ হাজার শিক্ষার্থী থাকতে পারবে। এ প্রকল্পের আওতায় নতুন ২০ তলাবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ হবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রী হোস্টেল ১৭ তলায় উন্নীত করা হবে। তিনি আরও বলেন, কেরানীগঞ্জের এই প্রকল্প ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে ঝিলমিল ও পূর্বাচল এলাকায় নতুন জায়গা খোঁজা হবে। হলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে তা যৌক্তিক। তিনি এ আন্দোলন ধ্বংসাত্মক রূপ না নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, পুরান কারাগারের জমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই জমি কী কাজে ব্যবহৃত হবে- তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তাই কারাগারের জায়গায় হল নয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদের আবাসিক হল হবে কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে যেসব ভবন অন্যের দখলে রয়েছে বলে শোনা যায়, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। সেগুলো সাবেক জগন্নাথ কলেজের নামে বরাদ্দ হওয়া ছোট ছোট কিছু বাড়ি। যার সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয়টি। সেখানেও কোনো হল নির্মাণ করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্পসহ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নেতারা। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফু?দ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম আবদুল্লাহ।