মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বুধবার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বাসন্তীদের গ্রাম থেকে শুরু হবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আগামী বুধবার কুড়িগ্রামের সেই বাসন্তীর গ্রামে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ উদ্বোধন করতে চিলমারী সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে চিলমারী উপজেলার পাশাপাশি জেলা শহরেও চলছে সাজসাজ রব। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকরা আসা শুরু করেছেন চিলমারীতে। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলছে দিনরাত মাইকিং।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার খাদ্যবান্ধব কার্ডের মাধ্যমে সরকারের সৃজনশীল এ কর্মসূচির সুফল পাবে। এরই মধ্যে চিলমারী উপজেলার ৮ হাজার ২১টি দরিদ্র পরিবারকে এ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সদরে ১৭ হাজার ৭২২, নাগেশ্বরীতে ২৪ হাজার ২০, ভূরুঙ্গামারীতে ১৩ হাজার ৯৮৫, ফুলবাড়ীতে ৯ হাজার ২৯৮, রাজারহাটে ১০ হাজার ৬০২, উলিপুরে ২৪ হাজার ২০৮, রৌমারীতে ১২ হাজার ৬৮৫ এবং রাজীবপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩৮টি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাল বিক্রির জন্য জেলায় ২৪৭ জন সম্ভাব্য ডিলারের মধ্যে ১২৬ জনকে ইতিমধ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে।

চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চিলমারী সফরকে কেন্দ্র করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে সব প্রস্তুতি। এলাকার মানুষের কিছু দাবিও উত্থাপন করা হবে। ‘দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নকশায় রেলপথ যুক্ত, চিলমারী থেকে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু এবং চিলমারী বন্দর বাস্তবায়ন বিষয়ে দাবি রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন একজন কার্ডধারী। ধান লাগানো ও ধান কাটার মধ্যবর্তী সময়ে যখন দিনমজুরদের হাতে কাজ থাকে না তখনই এ কর্মসূচির সুফল পাবে পরিবারগুলো। ইতিমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারা দেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচন করে কার্ড বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জাফর আলী জানান, জেলার মঙ্গাপীড়িত উপজেলা হিসেবে চিলমারী অন্যতম। এ কারণেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন হিসেবে চিলমারীকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, উত্তরের মঙ্গাপীড়িত এলাকা ৭৪-এর বাসন্তী মিডিয়ায় প্রচারিত একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাম। দেশে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় চিলমারীর বাসন্তী নামের কিশোরীটি কলাগাছ খেয়ে জীবনধারণ ও মাছধরার জাল দিয়ে শরীর ঢেকে রাখে বলে মিডিয়ায় প্রচার হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর