আজ কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের এই দিনে বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে নানার বাড়িতে তার জন্ম। তার পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার পয়সা গ্রামে। তার ‘নূরজাহান’ উপন্যাস তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়, যা আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছেও সমান জনপ্রিয়। ‘নূরজাহান’ একাধিক ভাষায় অনূদিত হতে যাচ্ছে। অসাধারণ এ উপন্যাসের জন্য ২০১৩ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘আইআইপিএম-সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ পেয়েছেন। ২০০৫ সালে তিনি জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে’ বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে জাপানের চারটি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বাংলাদেশের সাহিত্য এবং তার নিজের লেখা নিয়ে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশে সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে তার ভূমিকা তাত্পর্যময়। তার লেখা গল্প-উপন্যাসের মতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার নাটক। তার লেখা দুই শতাধিক নাটকের মধ্যে অন্তত ১৫টি বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। ইমদাদুল হক মিলন লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করছেন। তিনি ‘কালের কণ্ঠ’-এর সম্পাদক। মিলন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, এস এম সুলতান পদক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন পদক, শেরেবাংলা পদক, টেনাশিনাস পুরস্কার, জাপান বিবেক সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা চোখ সাহিত্য পুরস্কার, জাপান পাইটার্স অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত।