শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে আদা-রসুনের দামে ঘোড়দৌড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কোরবানির অন্যতম অনুষঙ্গ পিয়াজের বাজারে স্বস্তি থাকলেও অস্বস্তি বিরাজ করছে আদা ও রসুনে। আদা-রসুনের দাম ঘোড়দৌড়ের মতো থামছে না। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে অসাধু একটি চক্র আদা-রসুনের দাম বাড়াচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

জানা যায়, দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে আমদানিকরা ভারতীয় সোনালি রঙের নাসিক পিয়াজ আকারভেদে প্রতিকেজি ১৩-১৬ ও লালচে গোলাপি রঙের সাউথ পিয়াজ ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পিয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৭ টাকায়। অন্যদিকে, খাতুনগঞ্জের আড়তে পাইকারিতে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৭ টাকা কেজি। এসব রসুন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এগুলোর পাইকারি দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা।  

তাছাড়া বর্তমানে পাইকারিতে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এগুলো বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এগুলো খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়।  

মধ্যম চাক্তাই মেসার্স আবুল বশর অ্যান্ড সন্সের মালিক হাজী মো. আবুল বশর বলেন, ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা-রসুন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ ছাড়ার কথা। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাহাজটি দেশে এসে পৌঁছেনি। দুয়েকদিনের মধ্যেই সেটি আসবে। এরপর আদা-রসুনের দাম আবারও স্থির হয়ে যাবে। 

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, গত এক সপ্তাহে পিয়াজের দাম কমছে। তাছাড়া বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিয়াজ মজুদ আছে। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, দেশে ভারত থেকেই বেশির ভাগ পিয়াজ আসে। ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি হওয়ায় চট্টগ্রামে পিয়াজের আমদানিকারক নেই। আড়তে বেপারিরা ট্রাকে করে পিয়াজ এনে পৌঁছে দেয়।

সর্বশেষ খবর