বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এশিয়ার সব দেশ জিকা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে : নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিশ্বে এ পর্যন্ত ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এরমধ্যে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এশিয়ার সব দেশেই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে গতকাল মুহম্মদ মিজানুর রহমান (খুলনা-২) ও গোলাম রাব্বানী (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১)-এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন। মো. গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুর হার এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। মুহম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে বসবাসরত ১৯ জন বাংলাদেশির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা শেষে তারার নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কোনো অবস্থাতেই যাতে কোনো জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি দেশে প্রবেশ না করতে পারে সে লক্ষ্যে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের পোর্ট অব অ্যান্ট্রিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জিকা, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ না থাকলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং এদেশে এডিস মশার অস্তিত্ব থাকায় বাংলাদেশও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত : ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংসদকে জানান, দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে।

৪৪টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল : নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মান বহির্ভূত ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (ওষুধ কোম্পানি) সর্বমোট ৪৪টি পদের ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬টির রেজিস্ট্রশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ ওষুধগুলো বাতিল করা হয়। এ ছাড়া এ সময়ে ১৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১২টি প্রতিষ্ঠানের পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।

মহিলা আসনের এমপি বেগম লুত্ফা তাহেরের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল স্থায়ী করা হবে : খুলনা-৪ আসনের এমপি এস এম মোস্তফা রশিদীর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল স্থায়ীকরণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

সর্বশেষ খবর