শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আসছে

যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হচ্ছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে। এর মধ্যে কমিটির পরিধি বাড়ানোসহ যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পরিবারের কোনো সদস্যকে আওয়ামী লীগের সদস্য না করা অন্যতম। এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের ব্যাপারে থাকবে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটির সভায় এসব প্রস্তাব করা হয়। ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যসংখ্যা ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করার প্রস্তাব করা হবে। প্রেসিডিয়াম সদস্যসংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে ১৯, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ থেকে বেড়ে ৪, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭ থেকে বেড়ে ৮ এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আরও ২ জন বাড়ানোর প্রস্তাব করবে এ উপকমিটি। বৈঠক শেষে গঠনতন্ত্র উপকমিটির আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক এ কথা জানান। ড. আবদুর রাজ্জাক নতুন প্রস্তাব যুক্ত করাসহ গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কোনো সদস্য আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যও হতে পারবে না। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পরিবারের কোনো ব্যক্তিও আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দলের আসন্ন সম্মেলনে গঠনতন্ত্রে তা সংযোজনের প্রস্তাব করা হবে। তিনি বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে গঠনতন্ত্র সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্র উপকমিটির সভায় খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তোলা হবে। সেখান থেকে অনুমোদন নেওয়ার পর কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে। কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের বিষয়টিও গঠনতন্ত্রে সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড নামের পৃথক ফোরাম গঠনতন্ত্রে সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার দলীয়ভাবে হওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য একটি বোর্ড থাকবে।

 এ বোর্ডের নাম হবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড।

এ বোর্ডের সদস্য হবেন ১৯ জন। দলের সভাপতি এ বোর্ডের সভাপতি হবেন এবং সদস্যসচিব হবেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে এ বোর্ড চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তিনজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে বোর্ডে পাঠাবেন।

গঠনতন্ত্র উপকমিটির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব আফজাল হোসেন, সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুল মতিন খসরু, কর্নেল মুহম্মদ ফারুক খান (অব.), আখতারুজ্জামান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর