সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
জিএমডিএসএস প্রকল্প

শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজই শুরু হয়নি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ডিসেম্বরে সমুদ্র উপকূলে নিরাপত্তাসহ নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে গ্লোবাল মেরিন ডিস্ট্রেসড অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম (জিএমডিএসএস) প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো প্রকল্পের কাজই শুরু করা হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নৌ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত নৌ মন্ত্রণালয়ের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ অর্থায়নে জিএমডিএসএস প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র পাওয়া গেছে।

নৌশুমারি শুরু : কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় নৌ শুমারির কাজ শুরু করেছে। দেশে নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা জানতে এ শুমারি শুরু করা হয়েছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ সারা দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী নৌযানের তথ্য সংগ্রহ চলছে।

 এ কার্যক্রম চলবে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত। এতে খরচ হবে ৪৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে সব নৌযানকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও জানান, বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে সব বন্দরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কমিটির তরফ থেকে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, ঝিনাইদহ স্থলবন্দর অবিলম্বে চালু করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ২৩টি স্থলবন্দর রয়েছে। বিভিন্ন স্থলবন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ২৬১ দশমিক ৭৩ একর।

বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আবদুল খালেক, মো. আবদুল হাই, এম আবদুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, আনোয়ারুল আজীম (আনার) ও মমতাজ বেগম অংশগ্রহণ করেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর