শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করেন রামপাল চুক্তি বাতিল করা উচিত : আনু মুহাম্মদ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘ভোট দেওয়ার যদি সুযোগ থাকে, তাহলে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ রামপাল বিদ্যুেকন্দ্রের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সরকারি দলের লোকজনও রয়েছেন। তাদের অনেকেই মনে করেন, পরিবেশ রক্ষায় রামপাল বিদ্যুেকন্দ্রের চুক্তি বাতিল করা উচিত।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সুন্দরবন রক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসবে এবং তারা সুন্দরবন রক্ষার সিদ্ধান্ত নেবে।

রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র বন্ধের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। নগরীর মালগুদাম রোডে সিপিবির কার্যালয়ের সামনে গতকাল দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুত্ফা, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সুজিত বর্মণ প্রমুখ। আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন হচ্ছে মানুষ রক্ষার আন্দোলন, বাংলাদেশ রক্ষার আন্দোলন। কলকাতায়ও দুবার রামপালবিরোধী সমাবেশ হয়েছে।

 তারাও এর বিরোধিতা করছেন। রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র বাতিল করতেই হবে। যত দেরি করবেন বাতিল করতে ততই সুন্দরবনের ক্ষতি হবে।

সরকারের উন্নয়ন ধারণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা বলছেন উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের একটু-আধটু ক্ষতি হবেই। সরকারের উন্নয়নের এমন ধারণাটা বদলাতে হবে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে যদি সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়, সেটিই হবে উন্নয়ন। পরিবেশের বিপজ্জনক মাত্রায় ক্ষতি হয়, সেটি কোনো উন্নয়ন নয়।

 

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে মেগা চুরির জন্য। আর এ জন্যই ১০০ কোটি টাকার কাজ করতে বাংলাদেশে ৪০০ কোটি টাকা লাগে।

এদিকে বেলা ৩টায় গণসংহতি আন্দোলন, ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘সুন্দরবন : রামপাল’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর সভা বাতিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এর প্রতিবাদে বিকাল ৪টায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গণসংহতি আন্দোলন।

 

সর্বশেষ খবর