মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
গম দুর্নীতির অভিযোগ

কোস্টগার্ডের সাবেক পরিচালক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সাবেক পরিচালক (পূর্ত) কমান্ডার মো.  মোস্তাফিজুর রহমান (অব.)-কে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দেওয়া ১১ হাজার মেট্রিক টন গম বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সকালে সংস্থাটির পরিচালক এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের নিজ বাসা থেকে তাকে  গ্রেফতার করে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ১৮ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন ওই আত্মসাতের ঘটনায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলা দায়েরের পরপরই এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে আসামিরা। সম্প্রতি রিটের নিষ্পত্তি হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিচারিক আদালত। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ  কোস্টগার্ডের সাবেক মহাপরিচালক কমোডর শফিক-উর-রহমান (অব.), লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এন রাশেদ তানভীর (অব.),  লেফটেন্যান্ট বি এন এম এস উদ্দিন (অব.) ও সাব-লেফটেন্যান্ট আশরাফুল হক (অব.)। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ  কোস্টগার্ডের সাবেক মহাপরিচালক কমোডর শফিক-উর-রহমান (অব.)-কে গ্রেফতার করে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম, মংলা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোস্টগার্ডের অনুকূলে ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কোস্টগার্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক শফিক-উর-রহমান ওই গম বিক্রির জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি কতগুলো ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ  থেকে কোটেশন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো ৫ টাকা কেজি হিসেবে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় গম বিক্রি করে। অথচ ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর হিসেবে গমের বাজার মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১১ টাকা ৬৪ পয়সা। যার মূল্য দাঁড়ায় ১২ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সরকারের ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কাছে প্রমাণ রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ১ মে থেকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সময়ের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। এদিকে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিলকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন এ আদেশ দিয়েছেন। ইব্রাহিম খলিল নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলি ডাকঘরের সাবেক পোস্টমাস্টার। খবর বাংলানিউজ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্রাহকের প্রায় ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় ইব্রাহিম খলিলকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আলাদাভাবে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এসব মামলার পলাতক আসামি ইব্রাহিম খলিল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল আলম নগরীর পাহাড়তলী থানায় তিনটি মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর