বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গারো তরুণী ও শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তরা অধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক সন্ত্রাসী রুবেলকে আট দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ভাটারায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাশেদুল খন্দকারকে পাঁচ দিনেও গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় রুবেলের সহযোগী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। আর ভাটারায় অভিযুক্ত রাশেদুলকে ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাড্ডায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্ত্রাসী রুবেল মাদক, ধর্ষণসহ ১৭ মামলার আসামি। ২৬ অক্টোবর রাতে পুরাতন থানা রোড থেকে গারো তরুণীকে তুলে নেয় এবং ধর্ষণ করে।

এদিকে ভাটারায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আমিন খন্দকারের ছোট ভাই রাশেদুল খন্দকার, চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর সদস্য ও ইয়াবা সম্রাট নাজমুল ও তাদের সহযোগী শাহিনকে পাঁচ দিনেও খোঁজ পায়নি পুলিশ। ২৯ অক্টোবর সকালে ভাটারার ছমিরউদ্দিন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, রাশেদুল এলাকার প্রভাবশালী। ভাটারা এলাকায় তাদের একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

 দুই ছেলের জনক রাশেদুল অনেক অর্থ-সম্পদের মালিক এবং বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ রাশেদুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করছে না।

এ ব্যাপারে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ৩০ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা। এতে রাশেদুল, শাহিন ও নাজমুলকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা যতই ক্ষমতাশালী হোক তাদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেলের সম্ভাব্য স্থানগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে। আর ভাটারায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর