মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাসদ ৭ নভেম্বর বিদ্রোহী সিপাহিদের পাশে দাঁড়ায় : ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, জাসদ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিদ্রোহী সিপাহিদের পাশে দাঁড়ায়। গতকাল রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতালোভী উচ্চাভিলাষী অফিসাররা ক্ষমতা দখলের জন্য উন্মত্ত হয়ে পড়েছিল। তারা তাদের অধীনস্থ ইউনিটগুলোকে পরস্পরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। জাসদ সভাপতি বলেন, সেদিন এক ইউনিটের সিপাহি আরেক ইউনিটের সিপাহিদের খুন করতে উসকানি দেওয়া হয় বলেই উচ্চাভিলাষী অফিসারদের ক্ষমতার জন্য উন্মত্ত সিপাহিদের বিক্ষুব্ধ করে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ সিপাহিরা অফিসারদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরকম উত্তপ্ত ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী সিপাহিরা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটিয়ে ফেলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাসদ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্রোহী সিপাহিদের পাশে দাঁড়ায়। কর্নেল তাহের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্রোহী সিপাহিদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের বিদ্রোহকে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত করেন।’ তিনি বলেন, উচ্চাভিলাষী অফিসারদের ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলদারের বিরুদ্ধেই সিপাহিরা বিদ্রোহ করেছিল। বিদ্রোহী সিপাহিরা খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেনি। খালেদ মোশাররফের হত্যাকারীরা চিহ্নিত ও আত্মস্বীকৃত। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসও না, সৈনিক হত্যা দিবসও না। ইনু বলেন, ‘জিয়া শুধু সিপাহিদের সঙ্গেই নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করে। জিয়া ক্ষমতার জন্য সেনাবাহিনীকে আবারও টুকরা টুকরা খণ্ডবিখণ্ড করে রাখে। এক অফিসারের বিরুদ্ধে আরেক অফিসারকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলে, লেলিয়ে দেয়। জিয়া সেনা নিবাসগুলোকে বধ্যভূমি, কসাইখানায় পরিণত করে।’ জাসদ সভাপতি ইনু জিয়ার আমলে কতজন অফিসার ও সৈনিক নিহত, ফাঁসি, নিখোঁজ, চাকরিচ্যুত, কারাবন্দী হয়েছে—তা উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত কমিশন ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর