সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোনেম খানের বাড়ি বরাদ্দ নিয়ে উচ্চ আদালতের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী আবদুল মোনেম খানের বাড়ি বরাদ্দ নিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। কোন কর্তৃত্ববলে রাজধানীর বনানীতে তাকে বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাড়িটি নিয়ে মামলার শুনানিকালে এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মোনেম খানের পরিবার ও রাজউককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। একই সঙ্গে মোনেম খানের বাড়ির রাস্তার পাশে সবুজায়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ ফুট বাই ২০০ ফুট জায়গা রাজউক ও সিটি করপোরেশনের যৌথ জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করার পর দখলমুক্ত করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছে আদালত। বনানীর ব্লক-এর ১১০ নম্বরের পাঁচ বিঘা ১৫ ছটাকের প্লটটি ১৯৬৬ সালে ডিআইটি থেকে বরাদ্দ পান মোনেম খান। পরে ২০০৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন এটি তাদের জায়গা উল্লেখ করে চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মোনেম খানের ছেলে কামারুজ্জামান। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা জারি করে। এ অবস্থায় ৩ নভেম্বর বনানীর ২৭ নম্বর রোডের ১১০ নম্বর বাড়িতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান শরীফ ও মো. সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। ডিএনসিসির এ উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আসেন মোনেম খানের ছেলে কামারুজ্জামান খান। ৭ নভেম্বর ওই উচ্ছেদ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা থাকার পরও মোনেম খানের বাড়ি কেন উচ্ছেদ করা হলো—এর ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ডিএনসিসির কাছে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুসারে ডিএনসিসির দেওয়া ব্যাখ্যার ওপর গতকাল শুনানি শেষে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

সর্বশেষ খবর