মিয়ানমারের গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রবিবার রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তাদের গুলি করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিহত ব্যক্তিদের ‘রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী’র সদস্য বলে দাবি করেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযোগ, রোহিঙ্গারা রামদা অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামে গুলিবর্ষণ করা হয়। সেখানেও হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেলিকপ্টার গানশিপ স্বীকার করেছে দেশটির সরকার। এ ঘটনার পর সেখানকার মানুষজন নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। গত ৯ অক্টোবর মংডু শহরের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৌকিতে হামলার ঘটনায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আবার জটিল আকার ধারণ করে। পুরো মংডু শহর ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নতুন প্রকাশিত ছবিতে ব্যাপকহারে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে যা পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। মিয়ানমার সরকার এসব সংঘর্ষকে হামলাকারীদের খোঁজে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ হিসেবে অভিহিত করছে। পর্যবেক্ষক ও কূটনীতিকেরা মনে করছেন, রবিবারের এই হামলার ঘটনায় অশান্ত এই রাজ্যটিতে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা ও ধীরে ধীরে সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রতি পুনরুদ্ধারের সব আশা শেষ হয়ে গেছে। বিবিসি।