মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
নরসিংদীতে আইজিপি

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদউড়িয়ে দিয়েছি

নরসিংদী প্রতিনিধি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে কখনো আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়া হতে দেওয়া হবে না। এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। কিন্তু তারা জঙ্গি ও মৌলবাদকে কখনো সমর্থন করে না। অতীতেও করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে উড়িয়ে দিয়েছি। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনস মাঠে নরসিংদী জেলা কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন। আইজিপি আরও বলেছেন, সন্ত্রাস আমরা দেখেছি ২০১৩ সালে। যেখানে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে ১৮ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো হয়নি। আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়াবেন, গাড়ি, স্কুল-মাদ্রাসা পোড়াবেন তা হতে দেওয়া হবে না। পুলিশের ভাষায় এসব কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৫ সালের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পেরেছি।

জঙ্গি তত্পরতাও উড়িয়ে দিয়েছি। জনগণ আমাদের পাশে ছিল। জনগণ আমাদের মূল শক্তি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সব অপতত্পরতা নির্মূল করেছি।

আইজিপি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য কমিউনিটি পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, থানার ওসিরা যদি সঠিক তথ্য দিতে না চায় কিংবা তথ্য গ্রহণে অবহেলা করে এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কমিউনিটি পুলিশ থেকে টাউট বাটপারদের বাদ দিয়ে জনগণের আস্থাসম্পন্ন ভালো লোক নিয়োগ করতে হবে। তবেই পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ স্থাপিত হবে।

তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও বিরোধী দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তা হতে দেইনি। স্বাধীনতা বিরোধীরাই কোরআন পুড়িয়েছে, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা স্বীকার করেছে যে, তারা তাদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে কোরআন পুড়িয়েছে। জঙ্গিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আমরা হত্যা করতে চাই না। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু যখন আমাদের জীবনের ওপর আঘাত আসে তখন আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে তাদেরকে বাঁচাতে পারি না।

মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম হীরু (অব.) বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি সামাজিক আন্দোলন।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার ও কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আমেনা বেগম (বিপিএম)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, মনোহরদী-বেলাবর সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, পলাশের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, শিবপুরের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিন ভূঞা, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও কমিউনিটি পুলিশিং জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি ড. মশিউর রহমান মৃধা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের ১০ হাজার লোক কমিউনিটি পুলিশের বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেয়।

এর আগে আইজিপি সাহেপ্রতাপে অফিসার্স মেস ও নারী পুলিশ ব্যারাকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং নবনির্মিত পুলিশ ব্যারাকের উদ্বোধন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর